মস্তফা উদ্দিন বড়লেখা ::অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে আছে বড়লেখা উপজেলার দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মসজিদটি।
মসজিদে নামাজ পড়ার কোন পরিবেশ নেই।
নেই আশপাশে ময়লা নিস্কাসনের কোন ব্যবস্থা।
কাদা আর ময়লা পানি জমে আছে মসজিদে আশপাশ। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের।
তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অভিযোগ
স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে মসজিদটি
খবর নিয়ে জানা যায় স্কুলটিতে ১১৬৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬ শাতাধিক মুসলিম শিক্ষার্থী রয়েছে। মসজিদ পরিচ্ছন্ন না থাকায় মুসলিম ছাত্রদের নামাজের ব্যঘাত ঘটছে। নিজ মসজিদে নামাজের ইচ্ছা থাকলেও নামাজ পড়তে পারছেনা তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় বাজারের ও স্কুলের পানি নিস্কাসনের ড্রেন মসজিদমুখী করে রাখা হয়েছে।
ফলে নোংরা পানি ও ময়লা এসে মসজিদের প্রবেশ মুখ ও মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে দূর্ঘন্ধ সহ নামাজের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।মজিদের চারপাশে আগাছা ও ভিতরে, বারান্দায় নোংরা পানি রয়েছে। নামাজ পড়ার মত কোন পরিবেশ নেই।
জানা যায় ২০০৮ সালে এলাকার লঘাটি গ্রামের দানশীল ব্যাক্তি মৃত হাজী মস্তাকিম আলীর পূত্রগণ উক্ত মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রায় ৮ লক্ষ মূল্যের ৪ শতক ভূমি বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের নামাজের সুবিধার্থে মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করেন। এলাকাবাসী ও প্রবাসীদের অর্থায়নে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মসজিদটি আংশিক নির্মাণ হয়।
ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভেবে ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের আগে তাদের ইশতেহারে প্রথম দফায় মসজিদের অসম্পুর্ণ কাজ যথাসম্ভব সম্পন্ন করার ঘোষনা দেন।
তুদুপরি এখনো মসজিদ সংস্কারে নতুন কমিটির কোন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস’র সাথে আলাপকালে তিনি
বলেন শীঘ্রই মসজিদ নামাজের উপযোগী করে গড়ে তোলার আশ্বাস প্রদান করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার চক্রবর্তী’র সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন স্কুলের নির্মাণ কাজ চলার কারনে পানি নিস্কাসনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে তবে নির্মাণ কাজ শেষ হলে মসজিদ পরিস্কার করা হবে।
তবে ছাত্ররা নামাজ পড়তে না পারার কথাটি তিনি অস্বীকার করেন।