বড়লেখা প্রতিনিধি :নিজ দোকানের কেনাকাটা করতে সিলেট গিয়ে আর ফেরা হয়নি বিয়ানীবাজারের জামান প্লাজার কাপড় ব্যবসায়ী সহিব আলী সৈবনের
সন্ধ্যা ৭টায় স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বলেন, দোকানের জন্য কিছু কেনাকাটা করে ফিরবেন। ফিরতে তার কিছুটা দেরিতে হতে পারে। এরপর তার সাথে পরিবারের আর কারো যোগাযোগ হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তিনি জরুরীকাজে সিলেট যান।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজালাল মুন্সী বলেন, লাশ উদ্ধারের পর তার পরিবারের সদস্যরা লাশ সনাক্ত করেছেন। তার স্ত্রী ও পুত্ররা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। সন্ধ্যা ৭টায় স্ত্রীর সাথে শেষ কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা এ হত্যার পেছনে কারা জড়িত রয়েছে সেটা বের করার চেষ্টা করছি। লাশের সরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ী সৈবনের দাসগ্রামস্থ মুশাফির ভিলায় গিয়ে দেখা যায়, স্বজনরা মাতম করছেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনার খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা ছুটে এসেছেন। বাসা এলাকায় ব্যবসায়ী ও স্বজনরা ভীড় করেছেন। ব্যক্তি জীবনে ব্যবসায়ী সৈবন তিন পুত্রের জনক। তাঁর বাড়ি বড়লেখা উপজেলার ইটাউরী গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন থেকে বিয়ানীবাজারে ব্যবসা করার সুবাদে দাসগ্রামের নিজস্ব বাসায় বসবাস করতেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল মুন্সী বলেন, আমাদের ধারণা তাকে অন্যত্র হত্যা করে এখানে এনে ফেলে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার চারখাইয়ের গাছতলা এলাকায় স্থানীয়রা তার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। চারখাই পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেন। লাশের গলাকাটা অবস্থায় উপুড় করে ফেলে রাখা হয়েছিল।