মিডিয়া ডেস্ক: নারীদের প্রায়ই ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতে দেখা গেলেও আফসানা মিমিকে নিয়ে খুলনাবাসীর কৌতূহল অন্যরকম। কারণ এই প্রথমবারের মতো একজন নারীকে সরকারি গাড়ির চালকের আসনে দেখছে সেখানকার মানুষ। আফসানার বাড়ি খুলনায় হওয়ায় তাকে নিয়ে গর্বও করছেন সবাই।
আফসানা খুলনার দৌলতপুরের আড়ংঘাটা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলকাজ উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে। গত বছর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রথমবারের মতো গাড়িচালক পদে নিয়োগ পান তিনি। সেখানে চার মাস দায়িত্ব পালনের পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে খুলনা সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়।
আফসানার স্বামী হাসানুর রহমান ঢাকায় এসিআই কোম্পানিতে চাকরি করতেন। স্ত্রীর বদলির পর তিনিও খুলনায় এসেছেন। আড়ংঘাটায় একটি ফার্মেসি দিয়েছেন তিনি। তাদের জান্নাতুল ফেরদৌস নামে সাত বছর বয়সী একটি মেয়েও আছে।
মিমি বলেন, ‘গাড়ি চালাতে শুরু থেকেই ভালো লাগত। প্রথমে সবাই আমাকে হাঁ করে দেখত। মুরবি্বরা কেউ ভালো বলতেন, কেউ খারাপ। তবে ধীরে ধীরে সমস্যা কেটে গেছে। ঢাকাতে সবাই এখন বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নেয়। কিন্তু খুলনার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হলে সবাই তাকিয়ে থাকে। অনেকে আমাকে দেখতে এগিয়ে আসে। কতদিন ধরে গাড়ি চালাই, বাড়ি কোথায় জানতে চায়। বাড়ি খুলনা শুনে কেউ খুশি হয়, আবার কেউ বলে এখানকার মেয়েদের এটা মানায় না।’
মিমি বলেন, ‘প্রথম থেকেই ড্রাইভিংকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমার মনোবল ছিল। এখন অনেকেই বিশ্বাস করেন, চালক হিসেবে মেয়েরাই ফিট।’
আফসানার বিষয়ে খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত সেপ্টেম্বরে সচিব মহোদয় প্রথমবারের মতো ইসিতে নারী গাড়িচালক নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান। প্রথম দিকে তাকে নিয়ে কিছুটা নার্ভাস লাগত। কিন্তু ধীরে ধীরে সংশয় কেটে গেছে। অন্য যে কোনো গাড়িচালকের চেয়ে আফসানা মিমি অনেক দক্ষ এবং অভিজ্ঞ।’