সিলেট৭১ ডেস্ক:; সিলেট মহানগরীর শাহী ঈদগাহর ফিরোজ খান মঞ্জিলের জায়গা দখলের অপচেষ্টা এখনো চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ফিরোজ খানের উত্তরসুরীরা। জনৈক গিয়াস উদ্দিন তাদের মামলা হামলা ও হুমকি দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ তাদের।
শনিবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ফিরোজ খানের সন্তানরা ও মেয়ের জামাই। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিরোজ খানের মেয়ের জামাই আরিফ আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শাহী ঈদগাহর ফিরোজ খান মঞ্জিলের বিরোধীয় জায়গা নিয়ে সিভিল কোর্ট মামলা চলছে। ১৪৫ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু তবু জনৈক গিয়াস উদ্দিন নানাভাবে জায়গাটি দখলের জন্য আমাদের হয়রানি করছেন ও হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৬ মার্চ থেকে ফিরোজ খানের পরিবারের সদস্য এবং ভাড়াটিয়াদের উপর চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারামারিসহ একাধিক মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে ভূমিখেকোচক্র সবার জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলছে। এই চক্রের মূল হোতা গিয়াস উদ্দিন ও তার লোকজন টাকা দিয়ে কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। তারা হামলা, মামলা, মহিলাদের মারধর, লুটপাট, ভাঙচুর করেছে। আবার তারাই আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিচ্ছে। কিন্তু বারবার ধর্না দিয়েও আমরা প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাইনি।
তিনি বলেন, জায়গা দখলে গিয়াস উদ্দিন এতই মরিয়া ও বেপরোয়া যে. প্রতিদিনই আমাদের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণামূলক কাজ করছেন। কখনো মিথ্যা আপোষনামা তৈরি করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছেন, কখনোবা মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি ফিরোজ খান মঞ্জিলস্থ মার্কেট নিজের বলে দাবি করছেন। অথচ ২০১৯ সালের হামলার পর ভাড়ার রশিদে ভাড়াটিয়াদের স্বাক্ষর রেখে ভাড়া আদায় করছেন ফিরোজ খানের ছেলে ফারুক খান। তার মিথ্যার আরও বড় উদাহরণ হচ্ছে, ২০১৯ সালে গিয়াসের ভাই অপহরণ হলে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, ওই মামলার অজ্ঞতনামা আসামী হিসাবে এখন ফিরোজ খানের উত্তরসুরীদের হয়রানি করছে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও জারি করিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ফিরোজ খান মার্কেট তৎকালীন সিলেট পৌরসভার অনুমতি নিয়ে তৈরি। ফিরোজ খানের নামেই বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, হোল্ডিং ও বহাল। এত ডকুমেন্ট থাকার পরেও বাড়ির জায়গা আমাদের নয় বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফিরোজ খান মঞ্জিল দখল প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গিয়াস উদ্দিন প্রথমে ফিরোজ খানের মেয়ের জামাই আরিফ আহমেদসহ পরিবারের পুরুষদের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজি মামলায় বাড়ি ছাড়া করে দোকানপাট লুটপাট করতে যান। মহিলারা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা চালান। বাড়ি দখল করতে দোকান ভাঙচোর এবং বিদ্যুতের লাইনও কেটে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, প্রশাসন নিজের পকেটে বলে গিয়াস উদ্দিন প্রায়ই হুমকি ধমকি দেন। তিনি একজন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকে দিয়ে সিলেটের প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে প্রায়ই শোনা যায়। ওই নেতাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, এন.এস.আই, ডিজি এফ আই, দুদুকসহ অনেক মানবাধিকার সংস্থায় আবেদন করলেও আমরা কোন সহযোগীতা পাইনি।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা কি এদেশের নাগরিক নই? কেন আমরা সরকারের সহযোগীতা থেকে বঞ্চিত? রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীও প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন করলেও কোন সাড়া পাচ্ছিনা। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আমরা আকুল আবেদন, আমাদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আমরা নিরাপত্তাহীন। গিয়াস বাহিনী যখন তখন আমাদের বড় ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতা চেয়েছেন।