সিলেট৭১ ডেক্স:: দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। কিন্তু সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর একাডেমি ভিন্ন। কর্তৃ পক্ষ চাইলেই তাদের প্রতিষ্ঠানটি পরিষ্কার করতে পারছেন না।মাঠজুড়ে রয়েছে মেলার সরঞ্জাম। কয়েক মাস আগে এক মাসের জন্য মাঠটি বরাদ্দ নিলেও এখনও তাদের স্টল অপসারণ করেননি আয়ােজকরা । ফলে মেলার সরঞ্জাম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যেও রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এ নিয়ে জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে শুধু চলতি ও আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। বাকি শ্রেণিগুলাের ক্লাস হবে সপ্তাহে একদিন। এ অবস্থায় সিলেট নগরীর উপশহর আই ব্লকের শাহজালাল উপশহর একাডেমির সামনের মাঠে এখনও মেলার সরঞ্জাম পড়ে আছে। দেখা যায়,বিদ্যালয়ের পাশের মাঠটি চারদিকে মেলার স্টল তৈরি করে ঘিরে রাখা হয়েছে। মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উপশহরের আই ব্লকের খেলার মাঠে যৌথভাবে মেলা আয়ােজনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপােরেশন(বিসিক)ও তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সােসাইটি (গ্রাসরুটস)। কিন্তু করােনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ায় মেলা আর হয়নি।মেলা বন্ধ হলেও এখনও স্টল ও সরঞ্জাম অপসারণ করেননি আয়ােজকরা। স্থানীয়রা জানান,মাঠটিতে উপশহর ও আশপাশ এলাকার তরুণরা খেলাধুলা করেন। কিন্তু মেলার সরঞ্জাম থাকায় তারা ৬ মাস ধরে খেলাধুলা করতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন,আমাদের খেলার মাঠ একটাই। দীর্ঘদিন ধরে এখানে মেলার সরঞ্জাম পড়ে আছে।ফলে আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না। শাহজালাল উপশহর একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাে.জালাল উদ্দিন বলেন, মেলার সরঞ্জাম না সরানােয় আমরা বেকায়দায় পড়েছি।আমরা বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা পরিষ্কার করতে পারছি না। উপশহরের এ মাঠটি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের অধীনে।
এ ব্যাপারে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সিলেট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মােহাম্মদ সুহেল সরকার বলেন,এক মাসের জন্য মাঠটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু সময় শেষ এখন মাঠে মালামাল রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ।মাঠ থেকে সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে মেলা কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সােসাইটির (গ্রাসরুটস)জাতীয় সমন্বয়ক অনিতা দাসগুপ্তা বলেন, বিদ্যালয়ের জায়গা ছেড়ে আমরা মেলা বসিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত মেলা চালু করা বা সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কোনাে সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিসিক সিলেট জেলার উপ-মহাব্যবস্থাপক(ভারপ্রাপ্ত) সুহেল হাওলাদার বলেন,আমরা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও মেলা শুরু করার আশা করছি।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)সত্যজিত রায় দাশ বলেন,এ সম্পর্কে জানলাম,আমরা বিষয়টি দেখব।
গ্রাসরুটসের সমন্বয়ক অনিতা দাসগুপ্তা ও তার স্বামী হিমাংশু মিত্রের বিরুদ্ধে এমন একটি মামলা বিচারাধীন হবিগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মহলুল সুনাম এলাকার বাসিন্দা খলিলুর রহমান মামলাটি করেন। তিনি অভিযােগ করেন,২০১৮ সালে অনিতা দাসগুপ্তা ও তার স্বামী হিমাংশু মিত্র কানাডা বাণিজ্য মেলায় পাঠানাের কথা বলে বাদীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।