তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা এখন আরো বেশি সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে। আগে আমরা শুনেছি নিয়োগ বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে অধিগ্রহণ বাণিজ্য। মাননীয় স্পিকার, আমাদেরকে নতুন করে আর কত বাণিজ্যের কথা শুনতে হবে। এসব দুর্নীতিবাজদের, রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠা সিন্ডিকেটদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জনগণ বাজেটের প্রকৃত সুফল কোনদিনই পাবে না।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী গোটা পৃথিবীর মানুষের জীবন যাত্রা তছনছ করে দিয়েছে। আমরাও এর থেকে ব্যতিক্রম নই। কঠিন এই সময়ে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অত্যন্ত দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত ছিল। বর্তমানে ভ্যাকসিন সংগ্রহে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর সাথে সরকার যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সেই প্রচেষ্টা প্রথম দিকে গ্রহণ করা হলে আজকে জনজীবন এত হুমকির সম্মুখীন হতো না। তাই করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া এবং করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় অক্সিজেন, ভেন্টিলেশন ও ভ্যাকসিন সহ পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সন্তোষজনক মজুদ গড়ে তুলতে এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এর ফলে একটা প্রজন্ম আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ, শিল্প-কারখানা, হাট-বাজার সব কিছু খোলা থাকলেও দেড় বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য বিধি মেনে, ছোট ছোট গ্রুপ করে, স্কুলিং সময়সূচিতে পরিবর্তন এনে, কারিকুলাম কাটছাট করে হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।