ডেস্ক নিউজ : ভুল তথ্য দিয়ে আয়কর সনদ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি সেলিম আহমদ এর উপর। এই সনদ দেখিয়ে নিজের নামে পিস্তলের লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন তিনি। একই অভিযোগ সেলিমের সহোদর তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের উপর। রোববার (৬ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবের লিখিত অভিযোগে এমন অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার বাদাঘাটের সোহালা গ্রামের আবদুর নুরের পুত্র আলামিন মিয়া।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পারিবারিক ভাবে ওই পরিবারটি তাহিরপুরে একটি খুনী পরিবার বলে চিহ্নিত। সেলিম ও নিজাম উদ্দিনের পিতা মৃত আমিন উদ্দিন একটি হত্যামামলার জেল কেটেছেন দীর্ঘদিন। সাজাপ্রাপ্ত এই আসামীর পরিবার আওয়ামী আদর্শের বিপরীতে অবস্থান করলেও পেশি এবং আর্থিক শক্তির জোড়ে সেই পরিবার এখন মিশে গেছে আওয়ামী পরিবারে।
এরমধ্যে একজন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি এবং সহোদর অপর ভাই হয়েছেন বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান। তাদের আর্থিক উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, নদীতীর কেটে বিক্রি, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, এলাকার সন্ত্রাস ও রাহাজানি।
আলামিন মিয়া অভিযোগ করেন, সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সেলিম আহমদ এলাকায় মস্ত বড় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। তার দৌরাত্ব ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অত্র এলাকার লোকজন অতিষ্ট। এদের পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই খুন ডাকাতি ও জালিয়াতি মামলার দাগী আসামী। তাছাড়া অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলাও রয়েছে সেলিম আহমদের বিরুদ্ধে।
উক্ত চরিত্রের এই সহোদর এলাকায় চাপাবাজি, ভূমি দখল, নদীর পাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এর সাথে অপ্রতোভাবে জড়িত। পুলিশের সাথেও সংঘর্ষের অভিযোগ রয়েছে এই পরিবারের। পুলিশের মামলায় দায়েরকৃত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামীও সেলিম আহমদ। দলীয় প্রভাব বিস্তার পরবর্তী এই পরিবারের তাণ্ডব যজ্ঞে আতঙ্কিত তাহিরপুরের জনপদ।
এরই ধারাবাহিকতায় এই সহোদর নিজেদের নামে পিস্তল রাখার লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন ভুল তথ্য দিয়ে। ভুল তথ্যে আয়করের পরিমাণ উল্লেখ করে গ্রহণ করেন এনবিআর কর্তৃক নকল সার্টিফিকেট। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার টিন সার্টিফিকেট (৪৬৭৮৭৮৯৭২২৩৮) সার্চ দিলেই সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম আহমদ এর মন্তব্য জানতে সেলফোনে কল করা হলে, তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন বলেন সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন।
সেলিম আহমদ ও নিজাম উদ্দিনের উপর লিখিত এই অভিযোগের অনুলিপি সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজি বরাবরেও পাঠানো হয়েছে।