সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: স্ত্রী তালাক দেওয়ায় প্রতিশোধ নিতে বগুড়ার মাদ্রাসা ছাত্র শিশু সামিউল ইসলাম সাব্বিরকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত সামিউলের সৎ বাবা ফজলুল হক ও তার সহযোগী অনিতা রানীকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ মে) শাজাহানপুর থানার কমলা চাপড় গ্রামের লাউ ক্ষেত থেকে সামিউলের (১০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, লাশ শনাক্তের পর সামিউলের মা সালেহা বেগম পুলিশকে জানান, ১২ বছর আগে মাঝিড়া কাগজিপাড়া গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর মাদকসেবী হওয়ায় তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। যে কারনে দেড়মাস আগে জাহাঙ্গীরকে তালাক দিয়ে ফজলুল হককে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু ফজলুল হক সামিউলকে মেনে নেয়নি৷ তিনি সালেহাকে বলতেন শিশুটিকে নানী অথবা খালার কাছে রেখে আসতে। এক পর্যায়ে সালেহা ফজলুল হককে তালাক দিয়ে ছেলেকে নিয়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
এদিকে, ফজলুল হক গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশকে জানায়, তালাক দেওয়ায় কারণে সালেহার উপর তার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ জন্য তিনি সামিউলকে দায়ী করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুয়ায়ী তিনি সোমবার (১৬ মে) বিকেলে ফজলুল হক মাদ্রাসায় গিয়ে সামিউলকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। এ সময় মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক আবু মুছা জানিয়ে দেন মায়ের অনুমতি ছাড়া তিনি সামিউলকে দিতে পারবেন না। ফজলুল হক তখন অনিতা রানীকে সামিউলের মা সাজিয়ে মাদ্রাসায় ফোন করালে আবু মুছা সামিউলকে দিয়ে দেন। এরপর ফজলুল হক সামিউলকে কলমা চাপড় গ্রামে একটি লাউ ক্ষেতে নিয়ে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে চলে যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর ডিবি ও থানা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিকেলের মধ্যেই ফজলুল হক ও তার সহযোগী অনিতা রানীকে গ্রেপ্তার করে। দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট৭১নিউজ/ইফতি রহমান