ফেঞ্চুগঞ্জ প্রতিনিধি:: সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় দুটি সরকারী ও তিনটি বেসরকারী ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ৪৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
২০০৮ সালের নির্বচানের পর মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিলেটে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেক কমে এসেছে। লোড শেডিং ও কমেছে। সিলেট নগরসহ বিভিন্ন স্থানে এখন কম মাত্রায় লোড শেডিং হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশে বিদ্যুৎ চাহিদার ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ১৯৯৩-৯৪ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) উদ্যোগে ও জাপানের মেসার্স সুমিটোমা কর্পোরেশনের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর তীরে গাড়ুলি কোনায় ২৫ একর জমির ওপর গ্যাস ভিওিক সিলেট ৯০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ওই কেন্দ্রের পাশে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় চীনের মেসার্স হারবিন আন্ড ইন্জিনিয়ারিংয়ের সহযোগিতায় ১০৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
বর্তমানে ওই কেন্দ্রে থেকে ৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। ৬ একর জমির ওপর নির্মিত ৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের প্রথম বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মেসার্স বারাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হয় ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর।
বর্তমানে কেন্দ্রটিতে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এনার্জি প্রিমা ৫০ মেগাওয়াট ভাড়া ভিত্তিক ২য় কেন্দ্রটি কেন্দ্রটি নির্মাণ করে মেসার্স হোনাফ গ্রুপ।
২০১০ সালের জুন মাস থেকে কেন্দ্রটি থেকে সর্বশেষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপিত হয় ২০১২ সালে উপজেলার মইনপুরে। কুশিয়ার পাওয়ার কোম্পানির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের নিজস্ব ৬ একর জমির ওপর ১ হাজার ৪ শ কোটি টাকা ব্যায়ে ভাড়া ভিত্তিক ১৭০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল ইন্ডিপেনডেন্ট বিল্ড ওউন অপার ( বিওও) কেন্দ্র নির্মিত হয়।
২৫ বছরের চুক্তি ভিত্তিক এ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্চ স্থাপিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোড সেন্টার সিলেট নগরের নিকটবর্তী হওয়ার লো- ভোল্টেজ সমস্যা নিরসন, কারিগরি লস সহ সিলেট অঞ্চলে মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্ভর যোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবিএ/ ৪ ডিসেম্বর