বিয়ানীবাজারঃ নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিয়ানীবাজার পৌরসভাকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমান পরিষদ গত চার বছরে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে সেইসব কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র তুলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরসভার কাউন্সিলর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই মেয়র মো. আব্দুস শুকুর বলেন, নান্দনিক বিয়ানীবাজার পৌরশহর গড়তে আমাদের অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এজন্য তিনি বিগত দিনগুলোতে সহযোগিতা করায় সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামীতেও সেই সহযোগিতা কামনা করেন। এসময় মেয়র মো. আব্দুস শুকুর বলেন, পৌরবাসীর প্রত্যাশা আকাশচুম্বি। তারা পরিচ্ছন্ন শহর কামনা করেন। এক্ষেত্রে পৌরবাসীকে ইতিবাচক মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শহরের ফুটপাত করে রেখেছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সেখানে সবজি, ফলমূলসহ নানা ধরনের পণ্যের পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন তারা। গত চার বছরে আমরা ফুটপাত দখলমুক্ত করতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কিন্তু তবুও সকলের সহযোগিতার অভাবে আমরা সেই কাজটিতে সফলতার মুখ দেখতে পারিনি। তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পৌরসভা কিচেন মার্কেটে সুন্দর পরিবেশে ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তারা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করতে চান। এতে সাধারণ মানুষ ও পৌরবাসী সমস্যায় পড়েন। স্বল্প সময়ের নোটিশে গত শুক্রবার সকালে সবাইকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা কাউকে পৌরসভার ফুটপাত ইজারা দেইনি। এরপরও কেউ যদি ফুটপাত ভাড়া দিয়েছে- এমন অভিযোগ পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পৌর মেয়র সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভাকে একটি নান্দনিক ও মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করার জন্য আমিসহ আমার কাউসিলরবৃন্দ ও পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পৌরসভার জন্য একটি মিনি বাস টার্মিনাল ও একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করেছি। পৌরশহরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছি। এছাড়া পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে৷ এখনও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি পৌরবাসীকে নিয়মিত কর পরিশোধের জন্য আমরা সচেতন করতেও ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে বিয়ানীবাজারে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।