দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবী আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম (৬২) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আলহাজ¦ সিরাজুল ইসলাম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের আহমদপুর গ্রামের মরহুম ছুয়াব মিয়ার বড় ছেলে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নের আহমদপুর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
নগরীর হাজী কুদরত উল্লাহ মার্কেটস্থ ফয়জিয়া লাইব্রেরির স্বত্ত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম প্রায় এক সপ্তাহ থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি রাজনীতি কর্মকান্ড ছাড়াও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক ছিলেন। দক্ষিণ সুরমার প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতিসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন।
এদিকে, সিরাজুল ইসলামের ইন্তেকালের সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন। শোকাতহ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বিএনপির পৃথক শোকবার্তায় তারা বলেন, মরহুম সিরাজুল ইসলাম মৃত্যুর পূব পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনোনীত হওয়ার পর উপজেলা বিএনপির কার্যক্রমকে সুসংহত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সিলেটের সকল মহলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছিলেন। সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুতে দল একজন খাঁটি জিয়ার সৈনিককে হারালো। শোক প্রকাশ করেছেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গিরদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ খান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান ফয়েজ প্রমুখ।