স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে সবজির বাজার আকাশছোঁয়া। দ্বিগুণ দাম বেড়েছে আদা ও পেঁয়াজের দামও। বেশিরভাগ সবজি কেজি ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক সবজি কেজি একশ টাকাও ছুঁঁয়েছে। এক বাজার থেকে অন্য বাজারে আকাশপাতাল পার্থক্য রয়েছে সবজির দাম। এতেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের।
শুধু শ্রমজীবী মানুষ নয়, স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা সবজিও এখন নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাদের কাছে সবজি কেনা এখন ‘বিলাসিতার’ মতো মনে হচ্ছে। নগরীর সবজির আড়ৎ ও কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ নেই। তাদের বেশি দামে কিনতে হয়, এজন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর পেঁয়াজ-রসুন দাম কেন বাড়ছে এ বিষয়টি আমদানিকারক বা গুদামজাতকারীরা ভালো বলতে পারবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও বাজার মনিটরিং না হওয়াতে ইচ্ছামত দাম হাঁকাচ্ছেন সবজি ব্যবসায়ীরা। এজন্য বাজার মনিটরিং হলে জনগণের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে।
সোবহানীঘাট মাহা সবজির আড়ৎ ব্যবসায়ী মো. ফারুক আহমদ জানান, দাম গত এক সপ্তাহে কিছুটা কমেছে। অধিকাংশ সবজিতে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা করে কমেছে।
তিনি জানান, জিঙ্গা প্রতি কেজি ৩৬ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা, সিম, ৯০ টাকা, সিসিঙ্গা ৩০ টাকা, বেগুন ৩৮, বেন্ডি ৩২, মুলা ৩৪ টাকা, কাকরুল ৪০, পটল ৩০, কচুর মুখী ২০ (কালো) টিলা জায়গার কচুর মুখী ২৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বন্দরবাজার ব্রাহ্মময়ী বাজারে জিঙ্গা প্রতি কেজি ৪০, ফুলকপি ৯০, টমেটো ৯৫, বেগুন ৪০-৪৫, কাকরুল ৪৫, পটল ৪০, কচুর মুখী ৩৫-৪০, সিম ৯৫-১০০, সিসিঙ্গা ৩৫ টাকা, বেন্ডি ৩৫-৪০, মুলা ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্যান্য বাজারে এসব সবজি অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, ব্রাহ্মময়ী বাজারের উল্ট দিকে লাল বাজার। এখানে দাম আকাশ পাতাল পার্থক্য। ব্রাহ্মময়ী বাজারে ফুলকপি ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও লাল বাজারে ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা আম্বরখানায়। আম্বরখানা কাঁচাবাজারে টমেটো প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক বাজার থেকে অন্য বাজারে সবজির দাম দ্বিগুন হলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। আর এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, বাজার তদারকি থাকলেও সবজি বিক্রেতারা অধিকাংশই ভ্রাম্যমাণ থাকায় নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।
অধিদপ্তরটির সিলেট জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি। নিয়মিত অভিযান করে জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু সবজির বাজারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকায় তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। এরপরও আমরা এখন গুরুত্বসহকারে কাঁচাবাজারের বিষয়টি দেখছি।
জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের বাজার কর্মকর্তা আছেন। উনি আমাদের রিপোর্ট দিলে সবজির বাজার মনিটরিং করা হবে।