সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক :: দক্ষিণ সুরমায় আনজুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযের দীর্ঘদিনের পূঞ্জিভুত কোন্দল এবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে । উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও দক্ষিণ সুরমা থানা তালামীযের আভ্যন্তরিণ কোন্দল এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সুরমা থানা তালামীযের সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জেলা সভাপতি শেখ আলী হায়দারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন সভাপতি ও সেক্রেটারী। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার মাধ্যমে এই কোন্দল প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে।ভাইস চেয়ারম্যানের মন মতো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক না হওয়া তিনি তাদের বিরুদ্ধে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে উঠছে পড়ে লেগেছেন।
সুত্র আরও জানায় সমালোচিত দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আল ইসলাহ ও তালামীযের কর্মীদের সুসংগঠিত না করে। ব্যক্তিগত গ্রুপ তৈরী করে কর্মীদের তার গ্রুপ করার জোর করেন।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ও তালামীযের সরাসরি সমর্থন নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাহবুবুর রহমান। উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে দলীয় ও নানা বিষয় নিয়ে থানা তালামীয ও ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দেয়। এমন কি ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব সংগঠনের কাজ বাদ দিয়ে আলাদা একক গ্রুপ তৈরি করেছেন। যারা তার বলয়ে কাজ করেন না তাদের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন ভাবে তিনি নিজে ও তার গ্রুপের নেতা রেদ্বোয়ান রাজা ও আব্দুর রাজ্জাক সাজুর কে দিয়ে হুমকি দিতে থাকেন।এতে কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সুত্র জানায়, নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের শুরু থেকেই এই অসন্তোষের সুত্রপাত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নেতা কর্মীরা জানান, নির্বাচনে মাহবুবুর রহমানকে প্রাথী হিসেবে মেনে নিতে পারছিলেন না স্থানীয় আল ইসলাহ ও তালামীযের একটি বড় অংশ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে তারা নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন।এমনকি কর্মীরা তাদের পকেটের টাকা দিয়ে নির্বাচনে দিন রাত কাজ করেন।তবুও তারা ভাইস চেয়ারম্যানের মন পায় নাই।
দক্ষিণ সুরমা তালামীযের সাবেক অনেক নেতাদের সাথে আলাপ কালে জানাযায়, ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান কে সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদোয়ান আহমদ চৌধুরী ও আল ইসলাহ নেতা ফয়জুল আলম থাকে আশ্রয় ও নির্দেশ দিয়ে উপজেলায় বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছেন। এবং তাদের বিরুদ্ধে লেগে দিয়েছেন । সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগরে ঘোষণা দিলেও মূলত ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবের চাপের মুখে তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা বারবার কেন্দ্রীয় কে ভাইস চেয়ারম্যানের অপকর্মের কথা অবগত করলে কেউ আমলে নেয় নি। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যানের গ্রুপের মুল হোতা রেদোয়ান রাজা ও আব্দুর রাজ্জাক সাজু বেপরোয়া আচরণে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মাঠ পর্য্যায় নেতাকর্মীরা অসন্তুষ্ট।
দক্ষিণ সুরমা থানা তালামীযের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে দ্বন্দ্ব নয় পারিবারিক কারণে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানা তালামীযের সভাপতি ফখরুল ইসলামও পদত্যাগপত্র দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এটা আমাদের সাংগঠনিক বিষয়। আমরা জেলা সভাপতির নিকট পদত্যাগপত্র দিয়েছি, এখন তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন আগামী সোমবার জেলার সভা আছে সভায়ই সিদ্ধান্ত হবে। থানা তালামীযের সাথে তার কোন বিরোধ নেই বলেও দাবী করেন তিনি।