ডেস্ক রিপোর্ট :: ছাতকে করোনা পরিস্থিতির সৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবেলায় অসহায় কর্মহীনদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের মিমাংশার উদ্দেশ্যে ডাকা বিচার সালিশে গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁওয়ে বাদী-বিবাদীদের বাঁক-বিতন্ডাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২মে) দুপুরে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাওঁ ইউনিয়নের তকিপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত আরশ আলী ও মোস্তাকিম রায়হানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মজমিল আলী, রাসেল ওয়াহিদ, মনসুর আলী, রাশিদ আলী, সায়েদ, ওয়াতির আলী ও সমুজ আলীকে কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।তাৎক্ষনিক ভাবে অন্যান্য আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে দু’ই পক্ষের মধ্যে বিভেদ চলে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রান বিতরন এর জের ধরে আব্দুল গফফার পক্ষের লিটন মিয়া ও মাফিজ আলী মাস্টারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এব্যাপারে সালিশ বৈঠক ডাকেন ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান। সালিশ চলাকালেই দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন উভয় পক্ষের লোকজন।
এব্যাপার মাফিজ আলী জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ করায় তখন থেকেই আব্দুল গাফফার তাকে নানাভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। এরই জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লকডাউন ভেঙ্গে মারামারির উদ্দেশ্যে পুর্বপরিকল্পিত ভাবে বিচার সালিশের ডাকে মত দেয়। সেখানেই তার বাড়ি থেকে অস্ত্র বের করে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
আব্দুল গফফারের বক্তব্যের জন্য তার মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ থাকাতে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, গ্রামের এক মুরব্বীকে কটাক্ষ করায় বিচার সালিশের ডাক দেওয়া হয়। এতে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।