করোনাভাইরাস চিকিংসা কিংবা নিয়ন্ত্রণে যত টাকা প্রয়োজন হবে তা দেয়া হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি চীনের মতো বিশেষ হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়, তাতেও অর্থায়ন করা হবে। একথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার বিকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে আছে। আমরা ভাইরাস থেকে মুক্ত আছি তা বলতে পারবো না। যাতে করে কম রাখা যায় সে কাজটি করতে হবে। আমাদের এখন অভিজ্ঞতা রয়েছে। চায়না যখন শুরু করেছিল তাদের অভিজ্ঞতা ছিল না। সবাই সবার জায়গা থেকে বলতে হবে কিভাবে সবাই মুক্ত থাকতে পারবো। এটি সকলের দায়িত্ব। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফেইস করছে আর্থিক সক্ষমতা তাদের নেই, এটি ঠিক না।
তিনি বলেন, আমাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যন্ত্রপাতি বা লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার হয় সেখানে চায়না যেভাবে হাসপাতাল করেছে সে ধরণের কোন হাসপাতাল করতে পারবো কম সময়ের মধ্যে। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী কখনো না করবেন না অর্থায়ন করার জন্য। আমরাও সকলভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করবো অর্থায়ন করতে। যাতে তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কোনভাবে পিছিয়ে না থেকে করা যায়।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আই্মএফ ৫০ বিলিয়িন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে সেই টাকা বাংলাদেশ পাবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ টাকা দিলে আমরাও পাব। অন্যান্যরাও দেবে। কোন আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাহায্য সহযোগীতা পেলে অবহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, করোনো ভাইরাসে আক্রান্ত নাগরিকদের চিকিৎসার জন্য চীন ৬ দিনের মধ্যে একটি হাসপাতাল বানিয়ে বিশ্বে তাক লাগিয়ে দেয়।