জানাজার পূর্বে এ তথ্য জানান পুত্র সৈয়দ মঈনুল হক চেয়ারম্যান
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ আহমদুল হকের কাছে জেলার বিভিন্ন স্থানের লোকজনের সালিশ বিচারের প্রায় ৩২ কোটি টাকা আমানত রয়েছে। মরহুমের ছোট ছেলে ও পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ শুক্রবার বাদ জুমা তার বাবার জানাজার পূর্বে সমবেত লোকজনকে এ তথ্য জানান।। তিনি বলেন, ‘পইলের সাবের’ নিকট অনেকের বিচারকার্য্যরে জন্য প্রায় ৩২ কোটি আমানত রয়েছে। তিনি মৃত্যুর পূর্বে তার হিসাব লিখার সময় বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। এমন বক্তব্য শুনে অনেকেই বিষয়টি বিস্মিত হয়েছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন একমাত্র পইলের সাব হওয়ার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিনিটে বাড়িতে ইন্তেকাল করেন সৈয়দ আহমদুল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি হবিগঞ্জের বিশিষ্ট সালিশান ও ন্যায় বিচারক হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। শুক্রবার বাদ জুমা লাখো মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় তার জানাজা। জানাজাশেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলীর জামাতা। সৈয়দ আহমদুল হক দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। বড় ছেলে সৈয়দ লুৎফুল হক এজাজ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী, ছোট ছেলে সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, ৪নং পইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং কন্যা- সৈয়দা সাবিহা সুলতানা মিলি, বিবাহিত।