‘‘ছাতকে করোনা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ‘লাফার্জ-হোলসিম’!’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে নিজেদের বক্তব্য প্রদান করেছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। তাদের বক্তব্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-
‘‘বাংলাদেশ সরকার করনোভাইরাস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরে বাংলাদেশে আগত বিদেশী নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশী কিংবা পর্যটক সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে আগত সকলকেই এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশের সুরমা প্ল্যান্টে যারা ‘শাটডাউনের’ কাজ করতে এসেছেন তারাও এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা অতিক্রম করেই এসেছেন। তাদের কারোর মধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবার কোন ধরনের লক্ষণ না থাকায় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ছাড়পত্র প্রদান করে। লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ সবসময়ই কর্মী এবং কোম্পানির অতিথিদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও বিদেশী এই সব শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা আমাদের নিজস্ব হেলথ সেন্টারে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিশ^জুড়েই এখন করোনাভাইরাস একটি আতঙ্কের নাম। তাই এবার অতিরিক্ত পদক্ষেপ হিসেবে আমরা আগত শ্রমিকদের সাম্প্রতিক ট্রাভেল হিস্টোরিও পরীক্ষানীরিক্ষা করে দেখেছি। সবকিছু ঠিক থাকায় তাদের কাজ করার অনুমতি প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ।
তাই ছাতকের সকল জনগণকে শুধু শুধু বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি, সেই সাথে যে স্বার্থান্বেষীমহল এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে তাদের এগুলো বন্ধ করার জন্য বলছি। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও এ ধরনের গুজব না রটানোর জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের গুজব কোনপক্ষের জন্যই মঙ্গলজনক নয়। এমন সময় আমাদের সকলের উচিত একসাথে কাজ করা, গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করা নয়।’’
লাফার্জ হোলসিমের পক্ষে এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম এই বক্তব্য প্রেরণ করেছেন।