স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর ফুটপাতের হকারদের উপর হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাট করে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীরা। রোববার রাত ১০টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় ক্ষদ্র হকার্স ব্যবসায়ীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে সকল নিয়ে যায়। মালামালের মধ্যে ছিল বিভিন্ন জাতের সবজি, মাছ, ফল, কাপড় ও নানান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। সেই মালামাল ফেরত গভীর রাত পর্যন্ত সিসিকের সামনে বসে কান্না করছেন হকারের লোকজন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় হকারের ভ্যান গাড়ি দিয়ে ক্ষদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের গাড়ি নিয়ে সন্ধ্যার পর নগরীর রাস্তার পাশে বসে মালামাল বিক্রি করে থাকে। বিনিময় সিকিকের কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায় করে। কিন্তু রোববার দিনের বেলা সিসিকের কর্মচারীর চাঁদা নিতে আসলে তারা কোন ধরনের চাঁদা দেয়নি। বিদায় তারা দলবল নিয়ে হকারদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের সকল মালামল লুটপাট করে নেয়। এই মালামাল ফিরে পাওয়ার আশায় হকারের লোকজন সিটি কর্পোরেশনের সামনে বসে আছে।
নগরভবনে এগুলো নিলামে বিক্রি করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান। নিলামের ক্রেতাও ছিলেন হকাররাই। নিলাম করে এসব মালামাল প্রায় ২৮ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
এরমধ্যে ২৫ টুকরি মাছ ৪০০০ টাকা, ১ ভ্যান কাপড় ২৫৫০ টাকা, ৮ ভ্যান বিভিন্ন জাতের ফল ৫০০০ টাকা, ২৭ ভ্যান বিভিন্ন জাতের সবজি ১৫০০০ টাকা, বরই বিজ ১৫০০ টাকা এবং মুলা ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে মালামাল বিক্রি করলেও আটক ভ্যানগুলো জব্দ করা হয়েছে।
নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় হকার্সরা বহাল তবিয়তে। এদের বিরুদ্ধে কোন কোন ধরনের অভিযান দেওয়া হয় না। সুরমা পয়েন্ট এলাকার হকার্সদের সন্ধ্যার পর বসার অনুমতি দেওয়া হলে বন্ধ হয়নি কর্মচারীদের চাঁদাবাজি। চাঁদা না দিলে শুরু হয় অভিযান। এভাবেই চলছে এই অসহায় হকার্সদের ব্যবসা। কিন্ত সর্বশেষ তাদের মারধর সকল মালামাল নিয়ে নিলাম দিচ্ছে সিসিক।
হাকারের সবজি বিক্রেতা মখলেখ বলেন, তার একটি ভ্যানে প্রায় ১০ হাজার টাকার পেয়াঁজ নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন। এই মাল বিক্রি করে পরিবারের মূখে এক মুটো খাবার তোলে দিবেন। কিন্তু তা আর হলো না। এখন বাসায় গিয়ে কি বলবে। মখলেছ সিসিকের হাতে মারধর খেয়ে আহত হয়েও তিনি মাল ফিরত পাওয়ার অপেক্ষায় রাস্তায় বসে আছেন।
হকার ইউছুফ জানান, আমরা সিসিকের কর্মচারীদের কাছে মালামাল ফেরত পাওয়ার জন্য গিয়ে ছিলাম। তারা আমাদের কাছে বড় অংকের টাকা দাবি করছে। আমরা টাকা না দেওয়ায় তারা মালামাল দেয়নি।
প্যানেল মেয়র তৌফিক বক্স লিপন কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্রাইম সিলেটকে বলেন, রাতে হাকারদের বিরুদ্ধে অভিযান ঠিক না। তাদের বলা হয়েছে সন্ধার পর বসার জন্য। রাত ১০টার পর আবার কিশের অভিযান।রাতে নিলামের কোন বিধান নেই।