পানসী রেস্টুরেন্ট কখনো ক্রেতার সাথে প্রতারণা করে না। খাবারের মানের দিকে সবসময় নজর রাখি আমরা। -সোমবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবি করেছেন পানসী রেস্টুরেন্ট সুনামগঞ্জ শাখার কর্মকর্তারা।
মরা গরুর মাংস সংগ্রহের অভিযোগে পানসী রেস্টুরেন্টে তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে- বিভিন্ন গণমাধ্যমে রোববার রাতে প্রকাশিত এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে নিজেদের রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পানসী রেস্টুরেন্টের সুনামগঞ্জ শাখা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পানসী রেস্টুরেন্ট সুনামগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আজাদ বলেন, রবিবার রাতে সার্কিট হাউস এলাকায় দুর্ঘটনায় একটি গরু মারা যায়। ওইদিন দুর্ঘটনাস্থল থেকে পানসির নামে গরু জবাইকারী যাদের আটক করা হয়েছে তারা পানসির কেউ না। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের রেস্টুরেন্টে গরু সরবরাহ করেন। তবে তারা কেউই পানসীর কর্মী নন।
তিনি বলেন, পানসী খাবারের মান নিয়ে ক্রেতার সঙ্গে কখনো প্রতারণা করে না। একই ধরন ও একই মানের খাবার পানসীর সকল শাখায় একই মূল্যে বিক্রি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মরা গরু জবাই করে পানসির রান্নার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে উল্লেখ করে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে তা সত্য নয়। এ ধরণের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পানসীর সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, পানসীর খাবারের সকল উপকরণ সরবরাহকারীদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। পরে নিজস্ব বাবুর্চির মাধ্যমে উন্নত রান্নাবান্না ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে খাবার সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকারীরা গরু এনে পানসীতেই জবাই করতে হয়। মাছ, সবজি, চাল এখানে আনার পর পরীক্ষা করে রান্না করা হয় এবং সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পানসীর আরও দুই কর্মকর্তা শফিক আহমদ ও সুজাত আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহিদুর রহমান সোমবার দুপুরে বলেন, মরা গরুর মাংস বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে।