নিজস্ব প্রতিবেদক :মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার-ইন-চিফ, আজীবন গণতন্ত্রী, বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী-২০১৮ উদযাপনে ‘বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ’ গৃহীত বছরব্যাপী কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটলো ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯। সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এক বর্ণাঢ্য সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি। উদযাপন পরিষদের প্রতিযোগিতা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সিলেট জেলা কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মাহবুবুজ্জামানের সঞ্চালনায় সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও মূখ্য আলোচক ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত, সভার ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের প্রাক্তন কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল (অব.) এম আসহাব উদ্দিন এবং নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর ভাইস-চ্যান্সেলর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন সদস্য প্রফেসর ড. আতফুল হক শিবলী। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম,এ, মান্নান এমপি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে ব্যস্থ থাকায় বঙ্গবীর ওসমানী জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন নি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বঙ্গবীর ওসমানীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে বছরব্যাপী কার্যক্রম উপস্থাপন করেন উদযাপন পরিষদের সদস্য-সচিব ও প্রধান সমন্বয়ক, দৈনিক সিলেট সংলাপ সম্পাদক, ওসমানী গবেষক মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান । অনুষ্ঠানের শুরুতে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সদস্য-সচিব মুফতি আব্দুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট কর্তৃক পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের পর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক রেজিস্ট্রার জামিল আহমদ আহমদ চৌধুরী, পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান, সিলেট স্টেশন ক্লাব লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট ও সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই,ইউ শহীদুল ইসলাম এডভোকেট, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও ওসমানী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য এডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী, পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘ সিলেট-এর সভাপতি মুজিবুর রহমান চৌধুরী, উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সদস্য সচিব ও গণদাবী পরিষদ সিলেট-এর সভাপতি এডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এবং উদযাপন পরিষদের অভ্যর্থনা উপ-পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) ইউকে’র ডাইরেক্টর এস,আই, আজাদ আলী প্রমুখ। ডা. নাসিম আহমদ, দেওয়ান মসুদ রাজা চৌধুরীসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুধীজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুর রউফ,সাংবাদিক আবু তালেব মুরাদ, এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, ইমদাদুল হক বেলাল, এম সিরাজুল ইসলাম, শাহ মনসুর আলী নোমান, জিয়ারত হোসেন খান, কবি নাজমুল আনসারী, কাজী মইন উদ্দীন এডভোকেট, ডা.এম, এ, জলিল চৌধুরী, আফিকুর রহমান আফিক, সৈয়দ আহমদ আলী, কয়েস আহমদ সাগর, আমীন তাহমীদ, ইসমত ইবনে ইসহাক সানজিদ, মো. জাবেদুল ইসলাম দিদার, অনুপ্রাণন সম্পাদক নাসির উদ্দিন এবং সাংবাদিক ইজাজুল হক ইজাজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বঙ্গবীর ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার, নান্দনিক ক্রেস্ট ও স্মারকগ্রন্থ এবং অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র ও স্মারকগ্রন্থ তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান উপলক্ষ্যে বঙ্গবীর ওসমানীর জীবন ও কর্মের আলোকে এবং দেশে-বিদেশে বঙ্গবীরের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও শতাধিক আকর্ষণীয় ছবিসহ “অনুভবে বঙ্গবীর ওসমানী ” শীর্ষক একটি তথ্যবহুল ও নান্দনিক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। স্মারকগ্রন্থটি স্পন্সর করেছেন বঙ্গবীর ওসমানী জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সদস্য-সচিব ও সিলেট গণদাবী ফোরামের সভাপতি, জেলা বারের বিশিষ্ট আইনজীবী চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেট। জেনারেল ওসমানী সম্পর্কিত নানা তথ্য-উপাত্তে সমৃদ্ধ এবং গ্লোসি পেপারে চার রঙে মুদ্রিত আকর্ষনীয় স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন মুহাম্মদ ফয়জুর রহমান ও জামান মাহবুব। বিপুল সংখ্যক সুধীজন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ এবং জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দের সরব উপস্থিতিতে গতকাল সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে বিরাজ করছিলো এক উৎসবমূখর পরিবেশ। অনুষ্ঠানে কাঙ্খিত সেবা দান এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)’র সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ ইউনিটের ক্যাডেটদের আন্তরিক প্রয়াস ছিলো সত্যিই প্রশংসনীয়।