বহুল আলোচিত সড়ক পরিবহন আইন ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে আইনটি পুরোপুরি কার্যকর হবে এক সপ্তাহ পর থেকে। ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া পেশাদার বা অপেশাদার চালক গাড়ি চালালে কারাদণ্ড ও জরিমানার বিধান রেখে ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভা আইনটির খসড়ায় অনুমোদন দেয়। গত বছরের ৮ অক্টোবর ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর গেজেট জারি করা হলেও তার কার্যকারিতা ঝুলে ছিল।
এদিকে এ আইন কার্যকরের খবরে সিলেটে মোটরবাইক চালকদের আইন মানার প্রবনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হেলমেট ব্যবহার বেড়েছে। সেই সাথে বিক্রিও বেড়েছে। সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট এবং হেলমেট বিক্রির দোকানগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রবি ও সোমবার একাধিক হেলমেট বিক্রির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যান্ডের হেলমেট বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশিরভাগই কম মূল্যের। বিক্রেতারা জানান, বাইক চালকদের সাধারণত হেলমেট থাকে। বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশ বাইক চালকদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকায় বাইক আরোহীদের জন্যও হেলমেট রাখছেন। গত কয়েকদিন ধরে হেলমেট বিক্রি বেড়েছে।
নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকার হেলমেট বিক্রেতা খোরশেদ আহমদ জানান, আগের চেয়ে হেলমেটের বিক্রি বেড়েছে। আগে দিনে ৩ থেকে ৪টি বিক্রি হলেও গত কয়েকদিনে গড়ে ১৫ থেকে ২০টি করে বিক্রি হয়েছে। তিনি জানান, সড়ক পরিবহণ আইন বাস্তবায়নের খবরে তিনিও দোকানে রিপ্লে, ইয়েমা, ইয়োহি, এসটিএম, এসএফএম, এমবিকে, ওজোনি, স্টিলবার্ড, এটলাস, হিরো, স্টুডাসসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের হেলমেট এনেছেন। বিক্রিও হচ্ছে আশানরুপ।
এ ব্যপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট ফাহাদ মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানে সিলেট শহরে বাইক চালকরা সচেতন হয়েছেন। বেশীরভাগ চালকই সড়ক পরিবহন আইন বাস্তাবায়নের পর থেকে ভয়ে হেলমেট ব্যবহার করছেন। এই আইন বাস্তবায়নের পরে সিলেটে গাড়ি এবং বাইকের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এই এক সপ্তাহ আমরা কাউকে মামলা দিচ্ছি না। যাদের সবকিছু ঠিকঠাক নেই তাদেরকে সচেতন করা হচ্ছে।