সিলেট :: সিলেট বেতারের বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বুধবার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন। সিলেট সদরের সহকারী বন সংরক্ষক জিএম আবু বকর সিদ্দিককে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- হবিগঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক আব্দুল্লা আল মামুন ও সিলেট রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জার দেলোয়ার হোসেন।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, বেতারের সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলিক প্রকৌশলী ১৪৩ টি গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে গত ২৮ মে বন বিভাগে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে একজন রেঞ্জ কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয় বন বিভাগ। গাছ কাটার উপযোগিতা তদন্তে গিয়ে ওই বন কর্মকর্তা দেখতে পান অনুমতি পাওয়ার আগেই গাছ কেটে ফেলেছে বেতার কর্তৃপক্ষ। কাটা গাছগুলো বেতার ভবনে স্তুপাকারে রাখা হয়েছে।
বিধিবর্হিভূতভাবে এভাবে সরকারী প্রচারমাধ্যমে প্রায় দেড়শ’ কাছ কেটে ফেলায় ব্যাপক সমালোচনায় সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বন ও পরিবেশমন্ত্রী শাহাবউদ্দিন সিলেট সফরে এসে এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানান। এরপর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটিকে লিখিতভাবে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে মৌখিকভাবে তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০ জুলাই আমাদের বৃক্ষমেলার উদ্বোধন হবে। এ নিয়ে সবাই এখন ব্যস্ত আছে। ২০ তারিখের পর তদন্তে নামবে তদন্ত কমিটি।
জানা যায়, বেতার কেন্দ্র, সিলেটের নতুন ভবন নির্মানে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের কাজের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে বেতার ভবনের ১৪৩টি গাছ। ফলে গাছগাছালিতে বেতার কেন্দ্রটি এখন অনেকটা বৃক্ষশূন্য হয়ে পড়েছে।
১৯৬১ সালে বেতারের সিলেট কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। সিলেট নগরীর মিরের ময়দান এলাকায় প্রায় ভরা প্রায় পৌনে তিন একর জায়গায় এই কেন্দ্রের অবস্থান।
সামাজিক বনায়ন, সরকারী, বেসরকারী বা ব্যক্তিমালিকানাদীন গাছ কাটতে হলে ‘বনজ দ্রব্য পরিবহন (নিয়ন্ত্রন) বিধিমালা, ২০১১ অনুযায়ী, আগে বন বিভাগের মাধ্যম গাছ চিহ্নিত করতে হবে। বন বিভাগ পরিদর্শন করে বিক্রির উপযুক্ত গাছ চিহ্নিত করবে এবং মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। এরপর বন বিভাগের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটতে হবে।
সিলেট৭১নিউজ/এআ