খালেদ হোসেন, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: গোলাপগঞ্জে খাল খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও অবহেলার কারনে হুমকির মুখে পড়েছে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবাররসহ বেশ কয়েকটি বসতভিটে। সরকারী ভাবে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীতে সংযোগ স্থল স্লোইচ গেইটের সামন দিক খনন না করে উল্টো পানি নিষ্কাশনের পথে মাটির টিলা করে রাখা হয়েছে অপরিকল্পিত ভাবে। এতে করে পানি নিষ্কাশনের বদলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির আশংকা দৃশ্যমান রয়েছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গোলাপগঞ্জ পৌর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ আলীর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড স্বরসতী এলাকার শেষ প্রান্ত ও সুরমা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ আলীর বসতভিটে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডার অনুযায়ী প্রায় ৩ কিলোমিটার খাল খননে ৮৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্পটি ‘মেসার্স মিয়াদ ট্রেডার্স’ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করে। খনন কাজ শেষ হলেও অনেক স্থানে খননের বদলে শুধু মাত্র সাটাই/পরিস্কার করা হয়েছে। পূর্বে অনেকেই খাল খনন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ জানিয়েছেন। মৌলভীর খালের শেষ প্রান্ত সুরমা নদী সংযুক্ত স্থান এবং স্লোইচ গেইটের মূল ফটক খনন না করে সমাপ্ত করা হয়েছে এ প্রকল্পটি। স্লোইচ গেইটের সামনের দিক খননের জন্য পৌর কাউন্সিলর এম ফজলুল আলমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দাবীর প্রেক্ষিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খননের বদলে এমন ভাবে মাটি ভরাট করে রেখে, যাতে পানি নিষ্কাশনের বদলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। এতে আশপাশের বেশ কয়েকটি পরিবারসহ মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার হানিফ আলীর পরিবার। প্রতিকার চেয়ে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন। লিখিত আবেদনে সংশ্লিষ্টরা সরেজমিন তদন্ত করে আশপাশের বসবাসকারীদের হুমকির কবল থেকে রক্ষা করতেও আবেদন জানান।
এব্যাপারে পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হানিফ আলী প্রতিবেদককে জানান, বিগত বর্ষা মৌসুমে বাড়ীর প্রায় ১৫ শতক জমি একদিনে নদীতে বিলীন হয়। এতে করে বসতভিটের পুরো আঙ্গিনা নদীগর্ভে রয়েছে। আবার খাল খননের নামে ভাঙন কবলিত স্থানে মাটি ভরাট না করে, বিপরীত দিকে মাটি ভরাট করা হয়েছে। এতে আমাদের পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়া খালটির নির্ধারিত সীমারেখায় খনন করা হয়নি। পূর্বে বর্ষা মৌসুম ও পানির ¯্রােতের প্রবণতায় যে গহীনতার সৃষ্টি হয়েছে, সেই দিকে পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সুমন্ত ব্যানার্জী সিলেট মিররকে জানান, স্যার সরকারী ভাবে দক্ষিণ কুরিয়ায় যাওয়ার সুবাদে আমি আজকেই দায়িত্বভার পেলাম। তবে এ বিষয়টি আমাদের দপ্তরের লোক পাঠিয়ে অব্যশই তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার প্রতিবেককে জানান, আমি বিষয়টি অবগত নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেব।